ঢাকা শনিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ
২৮ নভেম্বর, ২০১৭ | ০৮:৩১

কর্মবিরতিতে সরকারি কলেজে অচলাবস্থা

tesst

জাতীয়করণ হওয়া এবং হতে যাওয়া কলেজশিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এতে সরকারি কলেজগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ক্লাস হচ্ছে না।

কর্মবিরতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাতটি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন তিন শতাধিক সরকারি কলেজে গতকাল রোববার ও আজকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ শেষ হচ্ছে দুই দিনের এ কর্মবিরতি।

বিভিন্ন কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষকেরা কলেজে গেলেও কোনো ধরনের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। ঢাকা কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সিলেটের এমসি কলেজ, বরিশালের বিএম কলেজ, চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ওই সব কলেজে অচলাবস্থা চলছে। শিক্ষকেরা কর্মবিরতির সমর্থনে কলেজের ফটকে ব্যানার টানিয়েছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী কর্মবিরতির কথা না জানায় কলেজে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

সমিতির সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আগামী ৬ থেকে ৮ জানুয়ারি আবারও পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে তাঁরা কোনো কর্মবিরতি রাখেননি। এ সময় দাবির সমর্থনে জনসংযোগ করা হবে। তবে এ সময়ের মধ্যেও যদি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন এবং শিক্ষানীতি উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা।

আই কে সেলিমউল্লাহ জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, সারা দেশে সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে কলেজকে সরকারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বেশ কিছু কলেজকে সরকারি করা হয়েছে এবং আরও ২৮৩টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই সব কলেজের মোট শিক্ষকের সংখ্যা হবে প্রায় আট হাজার।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা বলছেন, এসব শিক্ষককে নন–ক্যাডার করে আলাদা নীতিমালা করতে হবে। এ দাবিতে তাঁরা কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করে গতকাল ও আজকের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল।