ঢাকা বুধবার | ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে সরকারের ১কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সুইচ গেইট টি এখন অকার্যকর অবস্হায় পড়ে আছে কোন কাজে আসছেনা। যেখানে এই মৌসুমে পানি ভরপুর থাকার কথা ছিলো বাস্তবতার প্রতিচিত্র ‘বরম ছড়ায়,পানি বিহীন অবস্হায় শুকিয়ে বালুচর হয়ে আছে এতে প্রকল্প এলাকার জনসাধারণ ভুক্তভোগীদের মাথায় হাত তাদের মন ভেঙ্গে পড়েছে।প্রকল্পিত এলাকার দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নোয়নের জন্য গঠন করা হয়েছিলো একটি সমবায় সমিতি নাম, “বরমছড়া পানি ব্যাবস্হাপনা সমবায় সমিতি লিঃ(পাবসস)। প্রকল্পের লক্ষ উদ্দেশ্য: ছিলো সুইচ গেইট দিয়ে পানি আটকিয়ে শুকনো মৌসুমে ভাসমান পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি ও মৎস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকল্প আওতাধীন জনসাধারণের জীবন যাত্রার গতি সঞ্চার করা।প্রথম বছরে আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকরা অান্তরিকতার সহিত প্রচেষ্টা ও শ্রমের কারনে তখনখার বাজার মুল্য অনুযায়ী প্রায় ২কোটি টাকার ফসল উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলো। কিন্তু এখন প্রকল্পগত কার্যক্ষমতা ব্যাহত হওয়ায় তারা হতাশার মধ্যে দিনানিপাত করছেন।তাদের দাবী কোটি টাকার অচলাবস্হায় পরে থাকা সুইচ গেইট সচল করে আবার কৃষি এবং মৎসের চাহিদা পুরণে সরকারের দৃষ্টি সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে বরমছড়া পানি ব্যাবস্হাপনা সমবায় সমিতি লিঃ(পাবসস) এর বর্তমান সভাপতি মোঃ ফয়জুর রহমান, জানান আমাদের প্রকল্প এলাকার পানির স্তর নীচের দিকে প্রবাহিত হওয়ার কারনে ছড়া শুকিয়ে গেছে যা বালু ভুমিতে পরিণত আজ।এবংটানা তিন বারের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, এর কাছে সমিতির বর্তমান কার্যক্ষম কি অবস্হার মধ্যে আছে।পানি সংকটের কারন কি জানতে চাইলে বলেন যেহেতু আমরা পাথর সমৃদ্ধ এলাকার মানুষ সেখানে পাথর উত্তোলনের ফলে গর্তের পানি মেশিন দিয়ে পানি সেচার কারনে ও পানি শুকিয়ে যায়। এখন আমরা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আছি।বছরওয়ারী অডিট হয় তবে সমিতির মাসিক সভা ও বাৎসরিক সভা নিয়মমাফিক -সঞ্চয় আদায় হচ্ছেনা বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার অলি আহাদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেনএটা এলজিইডির প্রকল্প,বরমছড়া সমবায় সমিতি আমাদের আওতাধীন সঞ্চয় আদায় সুবিধাভোগীদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ইহাতে আমাদের কোন হাত নেই বলে তিনি জানান।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম