ঢাকা মঙ্গলবার | ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ ডেস্ক
১১ জুলাই, ২০১৮ | ১৭:২৪

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১১ দিন কেউ দেখা করতে পারেনি: ফখরুল

tesst

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১১ দিন যাবত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য, আইনজীবী, দলের নেতাকর্মীরা চেষ্টা করেও দেখা করতে পারছেন না।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গত ৩০ জুন সর্বশেষ দেখা করেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন তার পরিবারের সঙ্গে এবং কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এটি নিয়ে তারা কোনো কথা না বলে কারাবিধির অজুহাত দেখাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আশঙ্কা তাকে (খালেদা জিয়া) রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারাবাস দীর্ঘায়িত করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। যদিও যে মামলায় তার সাজা হয়েছে সে মামলায় তিনি জামিনে আছেন। এখন তাকে অন্য যেসব মামলায় ট্রায়াল চলছে সেগুলোতে আটক রাখা হয়েছে।

কারাবিধির ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী, আইনজীবী ও যুক্তিযুক্ত কারণে যে কোনো ব্যক্তি কারাগারে আটক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাছাড়া খালেদা জিয়া এক নম্বর ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে মাসে চারবার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যেখানে জেলসুপারই অথরিটি সেখানে কারাবিধি লঙ্ঘন করে সাক্ষাতের জন্য যদি দেশের এক নম্বর ব্যক্তির কাছে যেতে হয়, তাহলেতো আর এই দেশে কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য যদি সরকারপ্রধানের কাছে অনুমতির জন্য যেতে হয়, তাহলে এটা কি আইনের শাসন? জেল কোড লঙ্ঘন করে খালেদা জিয়াকে তার পরিবার, বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না সরকার। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১/১১ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়েছিল ৪টি মামলা। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নামে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়ার নামে নতুন করে আরও অনেক মামলা দিয়েছে এই সরকার।আমাদের দলের নেতাকর্মীদের পুরানো মামলায় নতুন করে হয়রানি করা হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আলাদা আদালত বানিয়ে তাকে দ্রুত সাজা দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই আওয়ামী লীগের পথের কাটা দূর হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়সমূহঃ