ঢাকা শনিবার | ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতিবারের মতো এ বছরও ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আহবান করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
আগ্রহীদের উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে দিতে হবে। তার আগে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে এর জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, এবারও ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে। চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-
১. কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
২. আজীবন সম্মাননার জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে।
৩. যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সেই সিনেমায় বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৪. পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অবশ্যই ছবিটিকে সেন্সর সনদ পেতে হবে এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।
৫. কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
৬. বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারে বিবেচিত হবে না।
১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে।
১৯৭৫ সাল থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার একটি বড় ইভেন্ট যা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি, নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতি বছর আয়োজন করা হয়। ১৯৮১ সালে কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি কারণ জুরি বোর্ড কোনো চলচ্চিত্রকে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি।
এছাড়া ২০০৮ সালে সরকার একসাথে ৪ বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করে (২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭)।
২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম