ঢাকা বৃহস্পতিবার | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ ১৫ নভেম্বর সিডর দিবস। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে চরম এক আতংকের দিন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর এই দিনে ২৪০ কি. মি. বেগের ঘূর্নিঝর সিডর আঘাত হেনে মুহূর্তেই লন্ড-ভন্ড করে দেয় উপকূলীয় এলাকারে মানুষের জীবন ও জনপদ। সে দিন সিডর মূলত আঘাত হানে বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর জেলা গুলোতো। তবে জান- মালের ব্যাপক ক্ষতি হয় বাগের হাটের শরনখোলা উপজেলায়।
এখানে ৭ শতাধিক মানুষের নির্মম মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন থেকে মারা যায় ৬ শতাধিক। নিহতদের মধ্যে বেশি ভাগই ছিলো শিশু, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা। ১০ শহাস্রাধিক গবাদি পশু মারা যায় সেদিন। প্রায় ৭ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়। ভরা ফসলের ক্ষেত, শত শত মাছের ঘের যায় ভেসে। প্রায় ২৫ কি. মি. বেড়িবাধ ও ৬০ কি. মি. স্থানীয় ছোট বড় রাস্তা যায় বিলীন হয়ে।
সিডর পরবর্তী বিভিন্ন দেশী বিদেশী সংস্থার সহায়তা নিয়ে মানুষ পুনরায় ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা আজও ভুলতে পারছেনা সেই ভয়াল রাত্রির কথা। ঘুমের মাঝে আজওঅনেকে চিৎকার করে ওঠে পানি পানি করে। আবহাওয়া খারাপ হলেই সাউথখালীর বলেশ্বর তীরে ছড়িয়ে পড়ে আতংক।
উঃ সাউথখালীর ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম হালিম জানান, বলেশ্বর পাড়ের মানুষ গুলোর ভয় কাটেনি, কারন তাদের প্রাণের দাবি টেকসই বেড়িবাধ নির্মিত হয়নি আজও।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
শিরোনাম