ঢাকা শনিবার | ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেছেন, ‘আমরা চাই এ মুহূর্তে চলা সংসদের অধিবেশনে সরকার বিষয়টি সমাধানের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেবে। নতুবা অবরোধ চলবে।’
পূর্ব ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। রোববার দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা।
বর্তমানে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অচল হয়ে পড়েছে শাহবাগ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্লোগানে প্রকম্পিত শাহবাগ।
এর আগে দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিলে মিছিলে কর্মসূচিস্থলে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি কোটা বিলুপ্ত নয়, যৌক্তিক সংস্কার।
মিছিল থেকে স্লোগান দেয়া হচ্ছে- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’
আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহজাহান মিয়া বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। আমরা চাই সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে কোটার সংস্কার করতে হবে। আমরা অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করব।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন চলছে। ওই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৪ মার্চ ৫ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে সচিবালয় অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশি ধরপাকড় ও আটকের শিকার হন তিন আন্দোলনকারী। এরপর আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
সূত্র: জাগোনিউজ
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম