ঢাকা মঙ্গলবার | ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ ডেস্ক
৩ জুন, ২০১৮ | ২০:০১

সরকার ব্যাংকিং খাতকে শোষণ করছে: সিপিডি

tesst

বৃত্তান্ত ডেস্ক: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত হচ্ছে একটি এতিম প্রতিষ্ঠান। আর বাংলাদেশ সরকার এই এতিমকে শোষণ করছে।

রবিবার রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৭-১৮: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের অর্থনীতির নাজুক অবস্থা তুলে ধরে সিপিডি বলছে, আমদানি ব্যবসার ছদ্মবেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত অর্থবছরের ১৭ শতাংশের তুলনায় আমদানিতে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রমাণাদির মাধ্যমে সিপিডি বিশ্বাস করে যে আমদানি ব্যবসার নামে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের পাচার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিপিডি তাদের এই তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনায় দেশের অর্থনীতির মূলত তিনটি দিক নিয়ে আলোচনা করে। এর মধ্যে রয়েছে ফিনান্স ও ব্যাংকিং, পুঁজি বাজার এবং বৈদেশিক অর্থনীতি।

এছাড়াও এ পর্যালোচনায় ব্যাংকিং খাতের ক্রমবর্ধমান ভঙ্গুর অবস্থা এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক ঋণের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ব্যাংকিং খাত প্রসঙ্গে সিপিডির অপর ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অলস ঋণের পরিমাণ যেখানে দুই থেকে চার শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে এ হার ৯.৫ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো দেশে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজ বলেন, হতাশাজনক বিষয় হলো ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশ এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে বার বার পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতিকে বিকৃত রাজনৈতিক অর্থনীতি উল্লেখ করার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত নিয়ে হতাশ প্রকাশ করে দেবপ্রিয় বলেন, ব্যাংকিং খাতের এ দুরবস্থা দূরিকরণে একটি কমিশন গঠন করতে হবে যাতে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এ বিষয়টি ভুলে না যায়।

বৈদেশিক অর্থনীতি বিষয়ে সিপিডি বলছে, উচ্চ সুদে বিদেশি ঋণ নেয়ায় বৈদেশিক অর্থনীতিতে এক অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ‍দ্বিতীয়ত, ঋণের মাধ্যমে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে, তা প্রকৃত খরচের চেয়ে অনেক বেশি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো বলছে, বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা অনেক মেগা প্রকল্প বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে যা শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফিতির ওপর ভিত্তি করে আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।

বিষয়সমূহঃ