ঢাকা মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ
২৯ এপ্রিল, ২০১৮ | ২৩:০৬

সাকিবও চাই মাশরাফিকে টেস্টে

tesst

সম্প্রতি বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঘরোয়া ক্রিকেটে চলতি মৌসুমে টেস্টে খেলার পর জাতীয় দলে আবার ফেরার আশা ব্যক্ত করেছেন।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও বাংলাদেশ ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মাশরাফি। তবে সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে না খেললেও ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ টেস্টে মাশরাফির ফেরার ইচ্ছেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিছুদিন আগে মাশরাফির টেস্ট দলে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জানি না, সে টেস্টে ফিট কি না। কোথায় কোন দেশে টেস্ট খেলবে সে? দেশের বাইরে? তাহলে প্রতিদিন ওকে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ওভার বোলিং করতে হবে। ও বলছে, পারবে? তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। ফিজিও যদি অনুমতি দেয় আর সে যদি পারে তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানাব। তবে আমাদের এ নিয়ে ধারণা নেই। যদি মনে করেন আমাদের দেশে খেলা, তাকে দিয়ে মাত্র ২ বা ৩ ওভার করাব, সেটা ভিন্ন বিষয়।’

সম্প্রতি চ্যানেল-২৪ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার এক পর্যায়ে টেস্ট দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, সাকিব আমাকে বলে বসে, আচ্ছা সুজন ভাই, মাশরাফি ভাই যদি টেস্ট দলে ফিরে আসেন তাহলে কেমন হয়?’ আমি চাই মাশরাফি ভাই টেস্ট দলে আসুক।
পরক্ষণে সাকিব আরও যোগ করেন, ‘মাশরাফি ভাই দলে আসলে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টটা আরও মজবুত হবে। আমরা নতুন বলে বল করার একজন যথার্থ পেস বোলার পাবো। যার আছে সুইং করানোর ক্ষমতা। যিনি নতুন লাল বল সুইং করাতে পারেন। এছাড়া ইনিংস পিছু ১৫ থেকে ২০ ওভার বোলিং করে দিতে পারেন। সেটাও আমাদের জন্য ভালোই হবে।’
উনি যদি নতুন বলে আমাদের ৫-৬ ওভার করে দেয়, তাহলেই আমি খুশি। উনি তিন-চারটা স্পেলে চার-পাঁচ ওভার করে বল করবে, এতে সমস্যা নেই।”

সুজনের শেষ কথা, ‘আমি বিশ্বাস করি, মাশরাফি যদি টেস্টে আবার দলে ফেরে তাহলে অবশ্যই ভালো খেলবে। তার সাহস এবং ভালো খেলার আকাঙ্ক্ষা দুর্নিবার। যে ফরম্যাটেই হোক, মাশরাফি মাঠে নামলে ঠিক পারফরম করে। টেস্ট খেলতে নামলেও ঠিক ভালো করবে। সে, মেধা-প্রজ্ঞা ও সামর্থ্য পুরোপুরিই আছে তার।’ এখনো মাশরাফিই বাংলাদেশের এক নম্বর পেস বোলার। কোনো রকম আবেগতাড়িৎ সংলাপ নয়। এইতো এবারের প্রিমিয়ার লিগেই মিলেছে তার প্রমাণ। প্রচণ্ড গরমে গড়-পড়তা প্রায় ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং কোটা পূর্ণ করা নড়াইল এক্সপ্রেস ৩৯ উইকেট দখল করে সর্বাধিক উইকেট শিকারি।

শুধু উইকেট শিকারে সবার ওপরে নয়, প্রতি ম্যাচে গড়-পড়তা প্রাথমিক ব্রেক থ্রু এনে দেয়া এবং মাঝখানে ও শেষ দিকে যখনই বল করেছেন, তখনই বোলিং ক্যারিশমা দেখিয়েছেন মাশরাফি। তাতেই প্রমাণ মিলেছে, মধ্য তিরিশের মাশরাফি এখনো দেশসেরা পেসার।

টেস্টে তার অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই বাংলাদেশের বোলিংকে শক্তিশালী করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিষয়সমূহঃ