ঢাকা মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় জামিন পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। শনিবার বিকেলে যোধপুরের আদালত সালমান খানের জামিন মঞ্জুর করেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সালমানের জামিনের আবেদনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ সময় শুনানি শেষে বিকেলে সালমানের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন বিচারক রবীন্দ্র কুমার যোশি।
আজ শুনানিতে প্রসিকিউশন সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং হরিণের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন। সালমানের আইনজীবী আদলতকে বলেন, হরিণের ময়নাতদন্তের জন্য শুধু হাড় পাঠানো হয়েছিল কিন্তু চামড়া পাঠানো হয়নি। গুলি লেগেছে কিনা তা জানার জন্য চামড়া ছিল গুরত্বপূর্ণ। এছাড়া যারা এ ঘটনার সাক্ষী দিয়েছেন তারা ভুয়া বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী।
তবে এ দিন সকাল থেকে সালমনের জামিন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ, শুক্রবার বিচারক রবীন্দ্র কুমার যোশি-সহ ৭২ জনকে বদলির নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কিন্তু বিচারক বদলির এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সাত দিন সময় লাগে। সে জন্য এ দিন যোশির এজলাসেই হয় সালমনের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি।
গত বৃহস্পতিবার ২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় যোধপুরের আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান বলিউড তারকা টাবু, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে ও সাইফ আলি খান।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯/৫১ ধারায় দোষী প্রমাণিত হন সালমান। এই আইনে সর্বোচ্চ ৬ বছর ও সর্বনিম্ন ১ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণসার হরিণ ভারতের বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পূজনীয় প্রাণী। তারা এই হরিণের পূজা করেন। সালমান খানের যাতে সাজা হয় সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার পেছনে লেগে ছিলেন বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম