ঢাকা শুক্রবার | ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭১ তম বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা
বিশেষ প্রতিবেদক: ‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে সর্বাত্মক যে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছিলো সেই ধর্মঘটই স্বাধীনতার ভিত গড়ে দিয়েছিলো’ বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাস গবেষকরা। ঐতিহাসিক ১১ মার্চের ৭১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেছেন। ১১ মার্চ বিকেলে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘরে ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রক্ষা পরিষদ যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন তথা এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ১১ মার্চ একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশে প্রথম সফল ধর্মঘট। ১১ মার্চ প্রতিবাদের যে ভিত রচনা হয়েছিল, তারই সূত্র ধরে তত্কালীন সরকার ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় এবং এ সংগ্রামের পরিপূর্ণতা লাভ করে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের সিঁড়ি ধরেই ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলন বিকাশ লাভ করে।
বক্তারা আরো বলেন, এগারোই মাার্চের আন্দোলন ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি । প্রখ্যাত লেখক অন্নদাশংকর রায়ের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক এগারোই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরেন । এ প্রসঙ্গে অন্নদাশংকর রায়ের ভাষ্য:
“আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের কল্পনা কবে প্রথম তার মনে আসে। তিনি ( বঙ্গবন্ধু) হাসেন। বলেন, এগারোই মার্চ, ১৯৪৮ সালে ।”
তারা বলেন, জাতীয় ইতিহাসের এমন একটি মহৎ গুরুত্বপূণর্ দিবস আজ আমরা ভুলতে বসেছি। এ সময় যথাযথভাবে ঐতিহাসিক এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সহসভাপতি ড. মোমতাজ উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি শেকড় সন্ধানী ইতিহাস গবেষক এম আর মাহবুব। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রধান অতিথি ভাষা সৈনিক সাবির আহমদ চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসা,কবি সৈয়দ নাজমুল হাসান, ডা. এম এ মুক্তাদীর, মুসলে উদ্দিন খান মজলিস, হাফিজুর রহমান কবির, হাসানুল বান্না প্রমুখ।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম