ঢাকা মঙ্গলবার | ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তার প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকায়। সন্ধ্যা থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। তাই তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। উঁচু দালান-কোঠা কিংবা না থাকলে আরও অনেক বেশি শীত অনুভব হত।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম ঠিক এভাবেই শীত বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
সার্বিক আবহাওয়ার উন্নতি ও অবনতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও শীতের তীব্রতা এরকমই থাকতে পারে। শীত বাড়তে পারে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে। তবে দুদিন আগে তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা ২ দশমিক ৬ তাপমাত্রা ভেঙে নতুন রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের উত্তর পশ্চিমাংশে তা অব্যাহত থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত।
টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, ফেনী, সীতাকুণ্ড ও হাতিয়া অঞ্চলগুলো, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৪৪ মিনিট ও সূর্যাস্ত ৫টা ৩০ মিনিটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ। উত্তর পশ্চিম/উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে।
বিষয়সমূহঃTags: ঘনকুয়াশা, শৈত্যপ্রবাহ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম