ঢাকা বৃহস্পতিবার | ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আইজ্যাক আসিমভের বেস্টসেলার সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার উপন্যাস নেমেসিস। নেমেসিস আসিমভের পরিণত বয়সের লেখা। বিশেষজ্ঞদের মতে আইজ্যাক আসিমভের ফাউন্ডেশন সিরিজের পর সেরা কাজ হচ্ছে এই নেমেসিস।
নেমেসিসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, আসিমভ নিজেই স্বীকার করেছেন, এই লেখাটি তার অন্যান্য লেখার চেয়ে একটু আলাদা ধরণের। কেন? সেটা পড়তে গিয়েই টের পাওয়া যায়। নেমেসিস নিছক কোনো সায়েন্স ফিকশন নয়, এই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের স্বভাবজাত মানসিক বিকাশ এবং স্বকীয়তা তুলে ধরতে চেয়েছেন নিজস্ব ভঙ্গিতে।
আরেকটি বড় ব্যাপার হলো, এই সায়েন্স ফিকশনটির ধরণ থ্রিলারের মতো। অসাধারণ ভয়ঙ্কর থ্রিল সৃষ্টি করেছেন নেমেসিসে। সুতরাং যারা সায়েন্স ফিকশন এবং থ্রিলার পছন্দ করেন তাদের উভয়ের কাছেই বইটা সমাদৃত হয়েছিলো। ফলে এই বইয়ের জনপ্রিয়তা আসিমভের অন্যান্য লেখার চেয়ে একটু বেশি।
কী আছে এই বইয়ে? চলুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক:
নেমেসিস। সৌরজগৎ থেকে দুই আলোকবর্ষ দূরের গোলাপী আর লালে মিশেল রক্তের মতো লাল তারকাজগৎ। সেটা ধেয়ে আসছে সৌরজগতের দিকে। আঘাত হানবে পৃথিবীকে। ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা। নূহের প্লাবনের পর এতো বড় ধ্বংসযজ্ঞ পৃথিবীর বুকে আর আসেনি।
সেটেলমেন্ট রোটর সে কথা জানতে পেরেই কি পালিয়ে গেছে সৌরজগৎ ছেড়ে? সেখানে আছে ষাট হাজার মানুষ। আছে জেনাস পিটের মতো ম্যানিয়াকম্যান ঘৃণা করে সুন্দর এই গ্রহটাকে। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জেনেও কিছু যায় আসে না তার। সে তাকিয়ে আছে নেমেসিসের দিকে। সেখানে মানবসভ্যতা শুরু করার স্বপ্ন দেখে।
অদ্ভুত রহস্যময়ী এক তরুণী মারলিন নির্বাসন দেয়া হয়েছে নিঃসঙ্গ গ্রহ ইরিথ্রোতে। যেখানে আছে অদ্ভুত এক রোগ ইরিথ্রোপ্লেগ। যে-ই ওখানে গিয়েছে, মানসিক বিকলাঙ্গ হয়ে মারা গেছে। সেই অদ্ভুত তরুণী কী করে জীবনধারণ করবে সেখানে?
কেনইবা সে এগিয়ে এসেছে পৃথিবীকে রক্ষা করতে; যে পৃথিবী সে কখনো দেখেইনি? কিন্তু সে কি পারবে? নাকি সেও ইরিথ্রোপ্লেগের আক্রমনের শিকার হতে যাচ্ছে?
এই বইটি এক নিমিষে পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে দুই আলোকবর্ষ দূরে নেমেসিস জগৎ পর্যন্ত। রহস্য, রোমাঞ্চ আর শিহরণ জাগানো ভয়ঙ্কর এক জগতে।
বাংলা ভাষায় আইজ্যাক আসিমভের ‘নেমেসিস’ প্রথম অনুবাদ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অধ্যয়নরত একজন ছাত্র পান্থ বিহোস। বইটি প্রকাশ পেয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বাতিঘর প্রকাশনী থেকে। মেলায় বাতিঘর প্রকাশনীর স্টল নম্বর ৪০৮-৪০৯।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম