ঢাকা সোমবার | ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাচক্র শেষ করার প্রবণতা বাড়ছে। ক্রমেই কমছে ঝরে পড়ার হার। সরকারের নানান কর্মসূচি এবং সবার সচেতনতায় এমন সাফল্য এসেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
২০২১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে যে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ, তার অন্যতম শর্ত শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন।
সেই লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত এক দশকে প্রাথমিক স্তরে সফলতা সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় শতভাগে পৌঁছেছে। আর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে ঝরে পড়ার হার।
এ সফলতার কারণ সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, প্রশিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলী বিদ্যালয়ে কাজ করছে, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ, শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা চালু রাখায় শিক্ষায় এমন সাফল্য এসেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ সালে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৯.৮ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা নেমে এসেছে ১৮.৮ শতাংশে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে না পড়া কোন ম্যাজিক নয়। এ সাফল্য শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সার্বিকভাবে কাজ করার ফলেই এমন সাফল্য এসেছে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে এই অর্জনকে ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার সজাগ থাকতে হবে বলে জানান উন্নয়ন কর্মী রাশেদা কে চৌধুরী।
রাশেদা কে চৌধুরী সরকারের মূখ্য ভূমিকার কথা জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গিকার নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় কর্মসূচী নেয়া। এ সময় বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার আরও কমানোর কথা বলেন রাশেদা কে চৌধুরী।
প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ছে বাংলাদেশের স্বীকৃতি ও মর্যাদা।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম