ঢাকা মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনেকে তাঁকে নাগরিক লেখক বলেন। তবে, এ কথায় তাঁর আপত্তি আছে। তিনি নিজেকে চেতনাবাদী ভাবতে বা পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। তাঁর কাছে নগর বা গ্রাম-চেতনা মুখ্য নয়। মূলত শিল্প-চেতনার প্রাধান্যই তাঁর লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে করেন বর্তমান সময়ের শক্তিশালী তরুণ লেখক ফারজানা মিতু। এবারের বইমেলা প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নানা তথ্য দেওয়ার ফাঁকে বলেন নিজের সাহিত্যভাবনার কথা। নিবিড় সে ভাবনার আড়ালে সাহিত্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেতনা যেন ঢাকা পড়ে যায়।
নগরচেতনা তাঁর লেখায় ব্যক্তিসত্তামানসের নিরঙ্কুশ সত্যানুসন্ধানের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায়। তাঁর এই নান্দনিক ও সাবলীল নগরচেতনা অগ্রজদের দ্বারা অনুপ্রাণিত- স্বীকার করেন তিনি। প্রথমে কবিতায় ছিলেন। হঠাৎই উপন্যাসে ‘অনুপ্রবেশ’। প্রথম প্রেম কবিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ইচ্ছে ছিল কবিতা লিখব। হঠাৎই প্রিয় লেখক মইনুল আহসান সাবেরের অনুপ্রেরণায় উপন্যাসে প্রবেশ। এরপর থেকে শুধু উপন্যাসই লিখে যাচ্ছি। নিজেকে ভাঙছি, গড়ছি, পরিণত করছি। হয়তো এখন আগের চেয়ে অনেকটা গোছানো আমি।
আজ বইমলার প্রথম দিনেই আসছে তাঁর দুটি উপন্যাস- তোমার মুঠোয় বন্দী আমার আকাশ আর প্রযত্নে সে। প্রথমটি একটি সরল প্রেমের উপন্যাস আর দ্বিতীয়টি একটি অসম প্রেমোপাখ্যান। দুটি বই-ই আসছে দিব্য প্রকাশ থেকে।
আগেই বলেছি, কবিতা দিয়েই তাঁর আত্মপ্রকাশ, ২০১৪ সালে। আর প্রথম উপন্যাসেই আলোড়ন তোলেন তিনি। ২০১৫তে প্রকাশিত ‘নিশীথ রাতের বাদলধারা’ পাঠকমহলে আলোড়ন তোলে। ‘দেশ সেরা পাণ্ডুলিপি’ পুরস্কারে ভূষিত হয় তাঁর ‘শুধু তোমারেই জানি’ উপন্যাসটি।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম