ঢাকা শনিবার | ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফের ক্ষমতায় আসলে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের (5G) ইনটারনেট সেবা চালু করবে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিট- এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটর রবির সহায়তায় এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে হুয়াওয়ে। সজীব ওয়াজেদ জয় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীর জন্য হুয়াওয়েকে এক সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। অনুষ্ঠানে ফাইভ-জির সর্বোচ্চ গতি পাওয়া গেছে চার দশমকি ১৭ জিবিপিএস।
দেশে ১৯৯০ সালে মোবাইল ফোন সেবা চালু পর ২০১৩ সালে আসে থ্রিজি প্রযুক্তি। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোরজি সেবার চালু করে সেলফোন কোম্পানিগুলো।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ফাইভ জি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে তবে বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করব। ফাইভ জি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
বিগত বছরগুলেতে টেলিযোগাযোগ খাতের সরাকরের সাফল্যের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছিল প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশ। মোবাইল ফোন সেবা ছিল দামি ও শহরে সীমাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। দেশের প্রায় অধিকাংশ স্থানে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেছে।
বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম জানিয়ে জয় বলেন, দশ বছর আগে দেশে ইন্টারনেটের দাম যা ছিল তার থেকে ৯৯ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগে প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হয়েছে। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলো ধন্যবাদ পেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্স্তফা জব্বারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, হুয়াওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ প্রমুখ।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম