ঢাকা রবিবার | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
থাইল্যান্ডের উত্তরে একটি গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচের কাছে প্রথমবারের মতো খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা। এ খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানো ডুবুরিদের সাতজনের দলটির মধ্যে একজন ডাক্তার ও একজন নার্সও ছিলেন।
দলটির সঙ্গে ডুবুরিদের দেখা করার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, আটকে পড়া কিশোররা বলছে, তাদের স্বাস্থ্য ভালো আছে। ভিডিওটিতে এরপর তারা প্রত্যেকে একে একে কথা বলেন।
এখন তাদের নিরাপদে বের করে আনার উপায় খোঁজা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে বের করে আনার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ঝুঁকি নিতে চান না তারা। ওই গুহার মধ্যে প্রায় ৯ দিন ধরে আটকে থাকার পর মঙ্গলবার তাদের সন্ধান পায় উদ্ধার কর্মীরা। একটি ফুটবল সেশন শেষে কোচের সঙ্গে গুহার মধ্যে গিয়েছিলো ওই ১২ কিশোর। কিন্তু এরপরই প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে তাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
যে গুহায় তারা আটকে পড়েছে সেটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহাগুলোর একটি। পরে তাদের ভিডিও প্রকাশ করে থাই নৌবাহিনী। এতে দেখা যায়, তারা সবাই স্বাভাবিক আছেন ও কথা বলছেন। এরপর তাদের কাছে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো সহজে হজমযোগ্য এবং উচ্চশক্তির খাবার ও ভিটামিন পৌঁছানো হয়।
চিয়াং রাই প্রদেশের গভর্নর নারংসাক ওসোত্থানাকন বলেছেন, তারা কোনো তাড়াহুড়া করতে চান না। এদিকে আরো বৃষ্টির কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় গুহায় বাতাস ঢোকার পথগুলো হুমকির মুখে আছে।
এদিকে গুহায় আটকে পড়া দলটির বেশিরভাগই সাঁতার জানে না, যা পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও জটিলতায় ফেলেছে। এর আগে থাই সামরিক বাহিনী বলেছে, এদের প্রথমে সাঁতার শেখাতে হবে বা অপেক্ষা করতে হবে অন্তত চার মাস। নতুন করে বন্যার পানির কারণে যেন ঝুঁকি তৈরি না হয়, সেজন্য পানি পাম্প করে বের করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আর প্রদেশের গভর্নর বলছেন, গুহার মধ্যেই যেখানে দলটি আটকে আছে সেখানে একটি অবকাঠামো তৈরির অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। গুহার ভেতরের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে আটকে পড়া কিশোরদের বের করে আনা একটি বিপজ্জনক কাজ। থাম লুয়াং নামের ওই গুহাটি বর্ষায় প্রতি বছরই বন্যার পানিতে ভরে যায়, যা সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর পর্যন্ত থাকে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন গুহার মধ্যে বিপজ্জনক করিডোর ও শূন্য মাত্রার দৃশ্যমান পানির কারণে অদক্ষ ডুবুরীদের নেওয়া ঝুঁকির বিষয় হবে।
উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত থাকা ডুবুরি বেন রেমিনেন্টস বলেছেন, থাই নৌবাহিনীর দু’জন চিকিৎসক স্বঃপ্রণোদিত হয়ে আটকে থাকা ছেলেদের সঙ্গে পানি কমে না আসা পর্যন্ত অবস্থান করতে চেয়েছেন। আর অন্য আরেকটি টিম পাহাড়ের অন্য দিক থেকে গুহার ভিন্ন পথ খোঁজার কাজ করছেন। সূত্র: বিবিসি
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম