ঢাকা শনিবার | ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
উচ্চ আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে পূরণ করার সুযোগ রয়েছে, তবে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।এই আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। এটা করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।
কোটা পর্যালোচনায় গঠিত সরকারের কমিটি বিষয়টি সচেতনতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি বুধবার ওই কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। ওই কমিটি এর মধ্যে একটি সভা করেছে। এর আগে আন্দোলন ব্যাপকতা পেলে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে- এই বিষয়টিই শুধু জানিয়েছি আমি। আদালতের আদেশ বহাল থাকা পর্যন্ত এটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এখন সরকার চাইলে সেটা আদালতে আসতে হবে। আমার ধারণা কমিটি এটা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) ঠিক রেখে অন্যান্য যে কোটা আছে, তা পুনর্বিবেচনা করে মতামত দিতে পারবেন। সেখানে সরকারের বিবেচনায় যা করার সেটা করা যাবে।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম