ঢাকা শনিবার | ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইনজুরি নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে আসা সাকিব আল হাসানের আঙুলের ইনজুরি কতটা ভয়াবহ তা অবশ্য আঁচ করা যাচ্ছিলো না। ইনজুরি নিয়েই খেলেন গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ, সুপার ফোরের দুই ম্যাচও। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারেননি আঙুল ফুলে যাওয়ার কারণে। তাই তড়িঘড়ি করে দেশের বিমান ধরেন সাকিব আল হাসান।
দেশে এসে ডাক্তার দেখাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন আর ডাক্তার তাকে দেখে হয়েছেন হতবাক। আরেকটু দেরি হলে যে হাতটাই হারাতে বসতেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আরেকটু দেরি হলেই পচন ধরতো সাকিবের হাতে।
এই তথ্য জেনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাংবাদিক সহ সাধারণ দর্শকরা। এই হাত তো দেশকে কম কিছু দেয়নি।
যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তাহমিদ অমিত লেখেন, ‘যে হাতটা দেশের ব্রান্ড, বিজ্ঞাপন। সেই হাতটাতেই আর একটু হলে পচন ধরতে শুরু করতো। ডাক্তার দেখাতে এসে তাই তো হাসপাতালে ভর্তি। বিদেশে নেয়ার সময়ও পাওয়া গেলো না। জরুরি অস্ত্রোপচার সেই আঙুলে। আপাতত ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বের করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ও মেজর অপারেশনের জন্য নিতে হবে বিদেশে।
সাকিব আল হাসান কাজটা আপনি ঠিক করেননি। ঐ হাতটা শুধু আপনার নয়, পুরো দেশের।
এই অযত্নের দায়টা কার?’
এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার বর্ষন কবির তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘যখন আমরা ফাইনাল নিয়ে কথা বলছি,তখন রাজধানীর হাসপাতালে ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সাকিব আল হাসান। সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডের ভিসা না থাকায় তাৎক্ষনিক ভর্তি হন সেখানে। এদিকে আঙুলের ব্যথা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসক দেখেই বিস্মিত। এই অবস্থায় কিভাবে খেলা সম্ভব? কোন কাজই করা যায় না! আর অবাক হলাম জেনে, আর কয়েক ঘন্টা দেরী হলেই পুরো হাতই আর কখনো কাজ করতো না। যে হাত বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছে, সেই হাত। ইনফেকশন সারাতে তাই পুঁজ অপসারন করা হয়েছে। ৬০ থেকে ৭০ মিলি পুঁজ। চিকিৎসকরা বিস্মিত, হতবাক। হাসপাতালে এখন সাকিব অ্যান্টি বায়েটিকের ওপর থাকছেন সাকিব। দেশের বাইরে অন্তত: ৭২ ঘন্টার মধ্যে যাওয়া হচ্ছে না তার।’
আর একটু দেরি হলেই দেশ হারাতো সেই হাতকে যেই হাত এনে দিয়েছে অগণিত সাফল্য। আল্লাহ্ অতি শীঘ্রই ভাল করে তলুক সাকিব আল হাসান আপনাকে।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম