ঢাকা বৃহস্পতিবার | ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য হারুন-উর রশিদ আসকারীর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বড়দাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় অক্ষত আছেন উপাচার্য ও তার গাড়ি চালক।
উপাচার্য হারুন-উর রশিদ আসকারী বলেন, ঢাকা থেকে রাত দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হই। এসময় আমার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রেজাউল করিম ও গাড়ি চালক ফরহাদ সঙ্গে ছিলেন।
তিনি বলেন, আমি সাধারণত কুষ্টিয়া হয়ে আসলেও এদিন ঝিনাইদহ হয়ে আসি। পথিমধ্যে রেজাকে বাড়িতে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য যাত্রা করে গাড়াগঞ্জ পার হয়ে বড়দাহ নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার মাঝে বিশাল গাছ দেখতে পাই এবং তিন-চারজন সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে গাড়ির বাম পাশের দুটি গ্লাস ভেঙে ফেলে।
উপাচার্য বলেন, তখন আমার ড্রাইভার গাড়িটি একটু সামনের দিকে নিয়ে গেলে আমি ও আমার ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে লুকিয়ে থাকি। একটু পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে খুঁজে বের করে আমার কাছ থেকে টাকা চায়। আমি তাদেরকে গাড়িতে যেয়ে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে আমাকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে তারা চলে যায়।
তিনি বলেন, এসময় আমার কাছে ল্যাপটপ থাকলেও তারা তা নিতে অস্বীকার করে। তারা চলে গেলে আমি গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাচ্চু নামের এক কর্মচারীর বাড়িতে আশ্রয় নিই। এরপর কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসন আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
এসময় উপাচার্য আরও বলেন, ঘটনাটি ডাকাতি-নাকি পরিকল্পিত বুঝতে পারছি না, কারণ এসময় অন্য কোনো গাড়িতে হামলা হয়নি। ঘটনার পর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ খুঁজে পাননি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে গাড়ির ড্রাইভার ফরহাদ বলেন, ‘আমি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিই। একটু পরে পুলিশ আসলে তাদেরকে ঘটনাটি খুলে বলি এবং আমার স্যারকে বাঁচানোর অনুরোধ করি এবং প্রক্টর স্যারকে ফোন করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করি। তারা স্যারকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার মূলউৎপাটন করে, জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি গ্রহণের জন্য সরকারের উচ্চ মহলকে অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাঁই। ভিসি স্যারকে তার গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দিই। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করতে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিষয়সমূহঃTags: ইবি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
পূর্বের সংবাদ
শিরোনাম