ঢাকা মঙ্গলবার | ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ি ২৯৮ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী।
খাগড়াছড়ি আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাপা প্রার্থীতে যেখানে বেশিরভাগ কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার, নতুন বাড়ি, গাড়ি ও ইমারতের মালিক, সেখানে নতুন কুমার চাকমা নিতান্তই ‘গরিব’ প্রার্থী। নিজের নামে বা স্ত্রীর নামে কোনো ব্যাংকে সঞ্চয় নেই। এমনকি ব্যাংকে কোনো গচ্ছিত অর্থও নেই।
অন্য প্রার্থীদের যেখানে একাধিক বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট, নতুন কুমার চাকমার রয়েছে কেবল যৌথ মালিকানার একটি বাড়ি, যার মূল্য মাত্র ৫০ হাজার টাকা।
অন্য প্রার্থীদের কারও কারও যেখানে মারকোলাজ বেঞ্জ কার, একাধিক ঝকঝকে গাড়ি, সেখানে এই প্রার্থী গাড়ি তো দূরে থাক মোটরসাইকেলও নেই।
কৃষি ও মৌসুমি ব্যবসা থেকে তার আয় মাত্র তিন লাখ টাকা। মাসে কেবল ২৫ হাজার টাকা আয়।
অন্যদিকে নগদ আছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিএ পাস নতুন কুমার চাকমাকে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে আত্মীয়স্বজন থেকে ধার বা ঋণ করে। এমনটিই তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন নির্বাচনী ব্যয় বহনের জন্য ভাই উত্তম কুমার চাকমা থেকে দুই লাখ টাকা এবং ভাইপো রাজেশ চাকমা থেকে দুই লাখ ধার বা কর্জ থেকে প্রাপ্ত সম্ভাব্য অর্থ নিয়ে নির্বাচনী ব্যয় বহন করতে হতে পারে।
এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বহনের জন্য নিজের বোন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে দুই লাখ টাকা দিতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
নতুন কুমার চাকমার কোনো ব্যাংকে নগদ টাকা জমা নেই। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের নামের কোনো স্বর্ণালঙ্কার নেই। আসবাবপত্র আছে মাত্র ১৬ হাজার টাকা।
এ ছাড়া যৌথ মালিকাধীন কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ৩.২০ একর, যার মধ্যে নিজের মাত্র ১.২০ একর। এর বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে যৌথ মালিকানাধীন অকৃষিজমি আছে মাত্র এক একর, যার মধ্যে নিজের মাত্র ০.৪০ একর। এর বাজারমূল্য ১ লাখ টাকা।
স্ত্রীর নামে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানত নেই।
ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা জানান, ‘আমি সবচেয়ে গরিব প্রার্থী’।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম