সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা দিতেই উন্নয়ন মেলা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার যে কাজগুলো করেছে এবং ভবিষ্যতে যে কাজগুলো করতে যাচ্ছে তা সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতেই সারাদেশে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সকল জেলা-উপজেলায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই মেলায় আজকে যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকে বলবো— যে কাজগুলো আমরা করতে পেরেছি এবং যে কাজগুলো ভবিষ্যতে করার পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে যেমন জনগণকে সচেতন করা দরকার তেমনি আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে দরকার।’

তিনি বলেন, ‘এই উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে সেই লক্ষ্য নিয়েই এই উন্নয়ন মেলার সূচনা।’

সরকার প্রতিটি গ্রামকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চায় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ তার দেয়া ঘোষণা মোতাবেক ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে সবধরনের সেবা পাচ্ছে। মোবাইল ফোন প্রত্যেকটি মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে। প্রায় ৮ কোটি জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনমানের এই উন্নয়নই তার সরকারের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে এটুকু বলবো যে, উন্নয়ন মেলা যেটি সরকার করে যাচ্ছে, এই উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের উন্নয়ন। গ্রামের মানুষ, তৃণমূলের মানুষের উন্নয়ন। এই উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্বের দরবারে একটি সন্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, যে স্বপ্ন একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন।’

জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই উন্নয়ন মেলা নিয়ে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র পরিবেশিত হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরগুনা, ঝিনাইদহ, হবিগঞ্জ, গাইবান্ধা ও চাঁদপুরের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।