ঢাকা শুক্রবার | ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ ডেস্ক
১৯ এপ্রিল, ২০১৮ | ১৬:৫২

‘সাইবার বুলিংকারীদের রক্ষা নাই’

tesst

ডাক টেলিযোগাযোগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তির ভালো দিকের পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। আজকে মেয়ে শিশুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করতে না করতেই সে হয়রানির শিকার হচ্ছে, তাকে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য (সাইবার বুলিং) করছে, ছবি বিকৃত করছে বা ভিডিও করে নানাভাবে প্রচার করছে। অপরাধীদের উদ্দেশ্যে বলব, এসব মুছে ফেললেও কেউ পার পাবে না। যতভাবেই লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, আমরা মাটি খুঁড়ে তাদের বের করে আনব। আমাদের এখন সেসব প্রযুক্তি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ শীর্ষক এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ে এসব কথা বলেন। আইসিটি অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রক (সিসিএ) কার্যালয়ের উদ্যোগে এই সচেতনামূলক কার্যক্রমটি পরে দেশের ১০০টি স্কুলের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে পরিচালিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিসিএ নিয়ন্ত্রক যুগ্ম সচিব আবুল মানসুর মোহাম্মদ শারফ উদ্দিন । অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক ‘বি স্মার্ট’ শীর্ষক আলোচনা করেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রযুক্তিবিদ একেএম নজরুল হায়দার।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভার্চুয়াল জগতে তোমরা নিজেদের মোটেও অসহায় মনে করবে না। সরকার এসব অপরাধের প্রতিকার করবে। সরকার তোমাদের পাশে রয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশের আগে নিজেদের নিরাপত্তা বিষয়ে ভালোভাবে জেনে-বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ইন্টারনেটের কারণে নয়, অযত্নে ছেলেমেয়েরা বিপথগামী হয় বলে মন্তব্য করে আইসিটি মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হচ্ছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট থেকে তাদের সরিয়ে রেখে আমরা তাদের কী শেখাব? সন্তান বিপথগামী হয় বাবা মায়ের যত্নের অভাবে, পারিপার্শ্বিকতার কারণে। ইন্টারনেটে ঢুকে গেমস খেললে ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে, আমি এটা মনে করি না।

ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালাটি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল জগতে প্রতি মুহূর্তে যখন সাইবার অ্যাটাকের হুমকি রয়েছে, তখন আমরা সবার আগে মেয়েদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই। তারা নিজেরা সতর্ক হবে, পাশাপাশি তারা পরিবার ও আশপাশের অনেককে সচেতন করে তুলবে।

বিষয়সমূহঃ