ঢাকা রবিবার | ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেনের পর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন নিকোলাস পুরান ও ক্রেইগ ব্রাফেট। আর তাতে করে রাজশাহী কিংসকে ২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে খুলনা টাইটান্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। টপ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে খুলনা। বিপিএলের পঞ্চম আসরে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
৩১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলে খুলনা টাইটান্সকে মজবুত ভিত এসে দেন শান্ত। এরপর আফিফ ৩৮ বলে ৫টি ছক্কায় ৫৪ এবং পুরান ২৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। শেষদিকে ব্রাফেট ১৪ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানের মিনি-টর্নেডো ইনিংস উপহার দেন।
রাজশাহী কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। তবে ৪ ওভারের স্পেলে তিনি দেন ৫০ রান। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৪৮ রোন দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। মিরাজ দেন ৪ ওভারে ৪২ রান। খরুচে বোলিংয়ের দিনে ব্যতিক্রম ছিলেন মোহাম্মদ সামি। এই পাকিস্তানি পেসার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৮ রানের মাথায় রিলে রুশোর উইকেট হারায় খুলনা টাইটান্স। জাকির হাসানের সরাসরি থ্রেুা’তে রানআউট হন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ ও শান্ত মিলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
নবম ওভারে শান্ত ও মাহমুদউল্লাহকে আউট করে রাজশাহীকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখান ফ্রাঙ্কলিন। তবে আফিফ ও পুরানের মধ্যকার ৪৩ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত জুটিতে রাজশাহীকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় খুলনা। পুরান ফিরে যাওয়ার পর আফিফ ও ব্রাফেটের তাণ্ডবে রানের পাহাড়ে ওঠে খুলনা। এই দুজন পঞ্চম উইকেটে ২০ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন।
আট ম্যাচে ৫ জয় ও ১ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে রয়েছে খুলনা টাইটান্স। অন্যদিকে সমান ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে সাত দলের টুর্নামেন্টে ছয় নম্বরে রয়েছে রাজশাহী কিংস।
বিষয়সমূহঃTags: খুলনা টাইটান্স, নাজমুল হোসেন শান্ত, রাজশাহী কিংস
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম