ঢাকা শনিবার | ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্ত্রীকে খুন করার পর থানায় গিয়ে জামাল উদ্দিন সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জামালের অভিযোগ, স্ত্রী কথা শুনতেন না। বলার পরও মশার কয়েলে আগুন ধরাননি তিনি। পুলিশ বলছে, এর আগেও জামাল উদ্দিন তাঁর ভাবিকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ওই মামলায় এখন জামিনে আছেন তিনি।
পুলিশ আরও বলছে, জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও হত্যা মামলা আছে।
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী দক্ষিণপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, স্ত্রী রুমা আক্তারকে (৩৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন জামাল। ভোরে আটপাড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
সকাল ১০টার দিকে পুলিশ রুমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরিবার বলছে, রুমার বাবার বাড়িও একই গ্রামে। ১৯৯৯ সালে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে কলেজে পড়ে আর ছোটটি অষ্টম শ্রেণিতে।
আটপাড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত এ টি এম মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামাল নিজেই থানায় এসে স্ত্রী রুমাকে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে ভাবিকে হত্যা করার কথাও তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না বলে জানান প্রতিবেশী রোকসানা বেগম। দুজনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো বলেও জানান তিনি।
কয়েকজন এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, জামাল উদ্দিন ২০০৭ সালে বড় ভাই জালাল উদ্দিন সরকারের স্ত্রী জহুরা আক্তারকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। অভিযোগ ছিল, জোহুরা তাঁর কথা শুনতেন না এবং প্রায়ই ঝগড়া করতেন। ওই হত্যার পরই তিনি দৌড়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি ২০১১ সাল থেকে জামিনে রয়েছেন। ২০০০ সালে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুটি হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন জামাল উদ্দিন। এসব মামলার রায়ে তিনি খালাস পান।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহানের ভাষ্য, রুমার বড় ভাই সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পূর্বের সংবাদ
শিরোনাম