ঢাকা শনিবার | ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে, যাকে পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটি সংগঠন বলছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো অংশে আঘাত হানতে সক্ষম।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং থেকে উৎক্ষেপণের পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায় তারপর নেমে এসে বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়া থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে জাপানের জলসীমায় পড়ে।
যে কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া।
ব্যালিস্টিক মিসাইলের সর্বশেষ পরীক্ষাটি তারা চালিয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। ওই মাসেই তারা পারমাণবিক অস্ত্রের ষষ্ঠ পরীক্ষাটি চালায়। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন বলে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হুমকিই তাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না।
নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ‘সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক সপ্তাহের মাথায় আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ছিল আগের যে কোনোটির চেয়ে বেশি। আর তারা যা করছে, তা পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মিসাইলটি আকাশে থাকতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর ট্রাম্প পরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এটা দেখবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েন্টিস্টস’ এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে সেটি পৌঁছানো সম্ভব।
তবে বুধবারের পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়া হালকা কোনো মক ওয়ারহেড ব্যবহার করেছে বলেই সংগঠনটি মনে করছে। সেক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওই দূরত্বে পারমাণবিক হামলা চালানো সম্ভব নাও হতে পারে, কারণ পারমাণবিক ওয়ারহেডের ওজন অনেক বেশি।
সূত্র: বিডিনিউজ
বিষয়সমূহঃTags: উত্তর কোরিয়া, ক্ষেপণাস্ত্র, জেমস ম্যাটিস
পূর্বের সংবাদ
শিরোনাম