ঢাকা বৃহস্পতিবার | ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চট্টগ্রামের কদমতলী এলাকায় পরিবহন ব্যবসায়ী ও সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ০৩ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার মাদারবাড়ি (কদমতলী শুভপুর বাসস্ট্যান্ড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন চৌধুরী চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরীর বড় ভাই ব্যবসায়ী আলমগীর চৌধুরীর ছেলে।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন প্রিয়.কমকে জানান, নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ী হারুনকে গুলি করা হয়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে। হারুনের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা আছে বলে তিনি জানান। নিহত ব্যবসায়ী হারুন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান পরিদর্শক রুহুল আমিন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, পৌনে সাতটার দিকে গুলিবিদ্ধ হারুনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে গুলি লেগে পিট দিয়ে বের হয়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছিল। এর পরও তাকে বাচাঁনো যায়নি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. জোবায়ের এবং আব্দুল কাদের মিলে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। শোভযাত্রার শেষ মুহূর্তে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী হারুনকে গুলি করে।
কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ শোভযাত্রার আয়োজন করা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ। পেছনে গিয়ে দেখলাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। আমি তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই।
এদিকে ঘটনার আকষ্মিকতায় তারাও হতবিহ্বল বলে জানান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জুবায়ের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই সপ্তাহ আগে কয়েকজন ব্যক্তি কদমতলী এলাকায় পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে আসে। এ সময় হারুন চৌধুরীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাধা দেন। এ ঘটনার জের ধরে হারুন চৌধুরীকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, নিহত হারুন সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।
নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরীর স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর জানান, তার ভাসুরের ছেলেকে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তিনি এর বিচার চান।
নগর পুলিশের কোতয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তিন কাউন্সিলর মিলে শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আনন্দ সমাবেশ ও শোভযাত্রার আয়োজন করে। শোভযাত্রার এক পর্যায়ে হারুনকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর কে বা কারা গুলি করে চলে গেছে। আমরা ঘটনার ক্লু বের করতে অভিযান শুরু করেছি বলে তিনি জানান।
সুত্র: প্রিয়ডটকম
বিষয়সমূহঃTags: গুলি করে হত্যা, চট্টগ্রাম, যুবদল
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম