ঢাকা বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনিয়র রিপোর্টার
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ | ১৯:০৭

অবিলম্বে সাগর-রুনীর খুনিদের গ্রেফতার দাবি

tesst

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সমাবেশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সকাল ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

ডিআরইউ’র যুগ্ম-সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাজ্জাদ আলম খান তপু, ইলিয়াস হোসেন, রাজু আহমেদ, মুরসালিন নোমানী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শেখ মামুনুর রশীদ, ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, দপ্তর সম্পাদক মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী, নারী বিষয়ক সম্পাদক ঝর্ণা মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মো. মহসিন হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি, কামাল মোশারেফ, আবদুল হাই তুহিন, এস এম এ কালাম, ডিআরইউ’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য হাবীবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তৃতাকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনীকে হত্যা করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের আজও শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। অবিলম্বে চাঞ্চল্যকর এই মামলার খুনীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তারা।

সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ একটি র্যালি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। এরপর ১৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সাগর-রুনী হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে আমরা এখনও অন্ধকারে আছি, এর থেকে বেরোতে পারছি না। তিনি জানান, ২/১ দিনের মধ্যে র্যাবের ডিজিকে ডেকে এ বিষয়ে কথা বলবেন। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন যাতে খুব শিগগিরই দেয়া হয় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় হত্যা করা হয়। পরের দিন রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চারদিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত ছয় বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়সমূহঃ