ঢাকা শুক্রবার | ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজধানীতে গণপরিবহনের নৈরাজ্য থামছে না। তাদের এই নৈরাজ্যে কারনে সড়কে হতাহতে ঘটনা বেড়েই চলছে । এক দিকে রাস্তায় যানজট অন্য দিকে বাসচালকরা যাএী উঠানোর জন্য মোড়ে মোড়ে জটলা বেধে রাখে। এলোপাথাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ওভারটেকিং বা আগে যাওয়ার প্রবণতা। ট্রাফিক সিগন্যাল ও আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখানো। হর্ন দিয়ে শব্দদূষণ। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কিংবা পঙ্গুত্ববরণ।
রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় গণপরিবহনগুলোর এ রকম বিশৃঙ্খলা এখন চরমে পৌঁছাছে । এর পরিতান পেতে হলে বাস মালিকওবাস শ্রমিক নেতাদের নিয়ে সরকারের পক্ষে যানবাহন সংলিষ্টরা আলোচনায় বসেন তা হলে পরিবহনের নৈরাজ্য মোটামোটি কমে যাবে । এবং কি যাত্রীদের দূর্ভোগ কমে আসবে বলে জানান শ্রমিকনেতা মোঃ জামিল খান । রবিবার সকালে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় তার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ তথ্য গুলো জানান । তিনি বলেন, আমি নিজে দেখেছি ব্যস্ততম সড়কের মোড়ে মোড়ে এবং কি রাস্তার মাঝে বাস, টেম্পুগুলো এলোপাথাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে। আড়াআড়ি, পেছনের দিক বাঁকা করে দিয়ে গণপরিবহনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। এসব গাড়ির চালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। কার আগে কে যাবে, কার চেয়ে কে বেশি যাত্রী তুলবে সারাক্ষণ এ চিন্তাই তাদের। কারণ হচেছ বাস মালিকরা চালকদের প্রতিদিন হিসেবে কন্টাক দেয়। এই কন্টাকের টাকা ও চালক এবং হেলপারদের বেতনের টাকা জোগার করতেই তারা এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলেন এখন সব গাড়ি যদি এক ছাতার নিচে আনা যায়, একেকটি রুটের সব মালিককে একেকটি কোম্পানির বা ম্যানেজমেন্টের অধীনে আনা যায়, নির্দিষ্ট সময় পর পর সব গাড়ি চলে, দিনশেষে যে লাভ হবে সব মালিককে গাড়িপ্রতি সমভাবে বণ্টন করে দেওয়া হয় তবেই মুক্তি। এ দিকে ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ ( ডি এম পি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এ ব্যাপারে
তিনি বলেন, কাজটা খুবই সহজ। আবার খুবই কঠিনও। সহজ এ জন্যই যে, একেকটি রুটের অনুমোদিত সব গাড়ি একই ব্যবস্থাপনায় চলবে। এটি হতে পারে কোম্পানির মতো, হতে পারে সমিতির মতো। নির্দিষ্ট সময় পরপর গাড়ি ছাড়বে। যাত্রীরা তাড়া থাকলে দাঁড়িয়ে যাবে। নয়তো পরের আসনের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করবে। তাহলে চালক-সহযোগীর মধ্যে বেশি যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থাকবে না। আবার একই রুটের নিয়মিত যাত্রীরা মাস হিসেবে ভাড়াও পরিশোধ করতে পারবে।
কঠিনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক-যাত্রী সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন বিশৃঙ্খলা চলছে। কিন্তু যারা এ বিশৃঙ্খলার সুযোগে ফায়দা লুটছে তারা একীভূত করার কাজে বাধা দেবে। নানা ভাবে তারা চেষ্টা করবে উদ্যোগটা যাতে আলোর মুখ না দেখে। কিন্তু আমি সেই কঠিন কাজটি পরিবহন সেক্টরের কর্মকর্তা ও যানবাহন মালিক এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে এর সমাস্যার সমাধান খুঁজে বেরকরতে হবে ।
বিআরটিএ’ও সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলেছেন। এখন শুধু জনমত তৈরি করতে হবে। নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।
বিষয়সমূহঃTags: গণপরিবহন, নৈরাজ্য, বিআরটিএ, সিটিং সার্ভিস
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম