ঢাকা মঙ্গলবার | ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ
১৬ জুন, ২০১৮ | ০২:৪০

রোলান্ডোর হ্যাট্রিকে আটকে গেলো স্পেন

tesst

টিকিটাকার সাথে স্পেন যোগ করেছিল গতিময় ফুটবল। তবুও একজন রোনালদোর কারণে জয় নিয়ে ফেরা হল না স্পেনের। প্রথমার্ধে রোনালদো পায়ের জাদুতে দুই-দুই বার পিছিয়ে পড়ে দলটি তবে ঐ দুবারই তাদের সমতায় ফেরান কস্তা। আর পরের বার নাচো গোল করে স্পেনকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। সেই এগিয়ে যাওয়া ‘হ্যাটট্রিক ম্যান’ রোনালদোর বাঁকানো ইনসুইং করে বল জড়ায় জালে। আর ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ সমতায়।

এদিকে ম্যাচ শুরু করে দুই দলই ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে । একই ফর্মেশনে খেলেও মাঝমাঠের দখল নিতে খানিক টা ব্যর্থ হয় পর্তুগাল।

স্পেনের রক্ষণভাগে জর্ডি আলবার সঙ্গে ছিলেন রামোস, পিকে এবং নাচো। তাদের উপরে দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোকে এবং সার্জিও বুসকেটস। অ্যাটাকিং মিডে ইনিয়েস্তা, ইসকো এবং সিলভা। এই তিনজনের বোঝাপড়া ছিল চোখে পড়ার মতো।

প্রথমার্ধে স্পেন বল দখলের লড়াইয়ে ৬৩ শতাংশ সময় বল পায়ে ছিল স্পেনের দখলে। কিন্তু খেলার শুরু তেই
বক্সের ভেতর আগুয়ান রোনালদোর সামনে পা বাড়িয়ে তাকে ফেলে দেন ডিফেন্ডার নাচো। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পটকিক নিতে আসেন রোনালদো আর ছোট একটি ফলস নিয়ে বারের ডানদিকে বল পাঠিয়ে দল কে লিড এনে দেয়।

২৪তম মিনিটে কস্তা স্পেনকে সমতায় ফেরান। পর্তুগালের বক্সের ঠিক বাইরে এরিয়াল বলের দখল নেন। পর্তুগালের তিনজনকে ফাঁকি দিয়ে চকিত শটে বাঁদিকের বার নজরে রেখে শট করেন আর বল জড়িয়ে যায় জালে।

৪৪ মিনিটের সময় রোনালদো ব্যবধান ২-১ করেন। বক্সের ভেতর তাকে বল ছাড়েন সেন্টার মিডফিল্ডে খেলা গুইডেস। দেরি না করে গোলমুখে বাঁপায়ে জোরালো শট নেন। স্পেন গোলরক্ষক ডি গিয়া মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি। বলের লাইনে ছিলেন, গ্রিপ করতে হাতও দেন। সেই বল ফসকে গিয়ে জালে জড়ায়!

স্পেন সমতায় ফিরে আসে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫তম মিনিটে। ডেভিড সিলভা ফ্রি-কিক থেকে বক্সের ডানদিকে বল তুলে দেন। ওখানে ছিলেন বুসকেটস। কস্তাকে চোখে রেখে হেড করেন। কস্তাও ভুল করেননি। খুব কাছে থেকে বলকে জালে জড়িয়ে দেন ।

তিন মিনিট বাদে নাচো ব্যবধান ৩-২ করেন। বল পায়ে আসতেই দেখার মতো এক ভলি করেন আর তা বারে লেগে বল জালে ঢুকে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে ইনিয়েস্তা এবং কস্তাকে উঠিয়ে মিডফিল্ড আর আক্রমণে সজীবতা আনতে মিডফিল্ডার থিয়াগো এবং ফরোয়ার্ড আসপাসকে নামান স্পেনের কোচ। তাতে কাজও হয়। স্পেন বেশি বেশি পাস খেলে সময় কাটাতে থাকে। ঠিক ৮৮তম মিনিটে বক্সের কাছে ফ্রি-কিক পায় পর্তুগাল।

আর সেই ফ্রি কিক থেকে দেখার মত গোল করে দল কে সমতা নিয়ে যান।

বিষয়সমূহঃ