ঢাকা শনিবার | ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য, জাহাজশিল্প ও সেবাখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কর অবকাশ সুবিধা থাকার পাশাপাশি বিনিয়োগ প্রকৃতি এবং এর সাথে সম্পর্কিত ব্যয় কম হওয়ায় তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে।
সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তারা এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের ২৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। এর অংশ হিসেবে তারা আজ বেজার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চান বলে জানান। তারা জিটুজি (সরকার-সরকার) ভিত্তিতে বিনিয়োগ করবে।
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ১০০ একর জমিতে বিনিয়োগ প্রস্তাবনা পেশ করে। ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক বিনিয়োগ করতে পারলে ৩০০ থেকে ৪০০ একর জমির প্রয়োজন হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমানের পণ্য উৎপাদন বা রফতানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে এসইজেড প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০ হাজার একর জমিতে পরিকল্পিত শিল্প শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে একটি বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে সমীক্ষা করছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পাঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে বেজার কর্মকর্তা ছাড়াও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর চেম্বার এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ ঊন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম