ঢাকা সোমবার | ২৫শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ ডেস্ক
১১ জুলাই, ২০১৮ | ১৭:৩৫

৩ বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য জব্দ

tesst

বিগত তিন অর্থ বছরে বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি ও চোরাইভাবে আনা ৪ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকারের পণ্য আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এর মধ্যে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১ হাজার ২৫৫ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৩০ দশমিক ৯২ কোটা টাকা ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৯৬৫ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য আটক করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মো.শহিদুল ইসলামের দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, অবৈধ পথে বিদেশী মুদ্রা, শুল্ক ফাঁকি বা চোরাইভাবে সিগারেট, মোবাইল ফোন, স্বর্ণ, অসত্য ঘোষণায় আমদানিকৃত পণ্য ও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে যে সব পণ্য বিদেশ থেকে আনা হয়েছে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।

এর মধ্যে এই তিন অর্থ বছরে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৫ শলাকা বিদেশী সিগারেট আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৬২ কোটি টাকা। এছাড়া বিগত এই তিন অর্থ বছরে শুল্ক ফাঁকি বা চোরাই পথে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ কোট টাকার ১৫ হাজার ৭৬৯ পিস মোবাইল ফোন, ৪৪০ দশমিক ৮৮ কোটি টাকার ৯০৫ দশমিক ৬৮ কেজি স্বর্ণ, ১৭ দশমিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা ও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে আনা হয়েছে ৮৭৫ দশমিক ৬৪ কোটি টাকার পণ্য।

অন্যদিকে প্রতিবেদনটির আরেকটি অংশে চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে আটক পণ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, এ বছরের বিগত চার মাসে ৩০ কোটি টাকার স্বর্ণ, ১৩ কোটি টাকার বিদেশী সিগারেট, ৩ কোটি টকার মোবাইল ফোন ২ দশমিক ৫০ কোটি টাকার ওষুধ, ৩০ কোটি টাকার বিলাসবহুল ১২ টি গাড়ি আটক করা হয়েছে।

এছাড়া এই ৪ মাসে বন্ডেড পণ্য থেকে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।

তব এই প্রতিবেদনে যে সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত তিন অর্থ বছরে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ডিজি ড.মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার বেড়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে কিছু প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়সমূহঃ