ঢাকা সোমবার | ২৫শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ | ১৩:১৬

প্রার্থী চূড়ান্ত ও আসন ভাগাভাগি শেষ, এবার শুরু প্রচারযুদ্ধ

tesst

বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান দুটো দল তাদের নিজ নিজ জোটের শরিকদের সাথে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে রোববার, চূড়ান্ত হয়ে গেছে – কোন আসনে কোন্ দলের কে কে প্রার্থী হচ্ছেন এবং সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
ইতিমধ্যে মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন দল ও জোটের মধ্যে অসন্তোষ ও বিদ্রোহ হয়েছে, কিছু সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। প্রধান দলগুলো বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা এখনো করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাতেই শেষ হয়ে গেছে বিভিন্ন দলের পাঁচ শতাধিক মনোনয়নপত্রের ওপর নির্বাচন কমিশনে করা আপিলের শুনানি – তাতে অনেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, আবার অনেকের মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়ে গেছে। অবশ্য দু’একটি ক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার মহাজোট শরিক দলগুলোকে দিয়েছে ৪২টি আসন, যার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে দেয়া হয়েছে ২৬টি আসন। আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তার দুই জোট – ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের দিয়েছে মোট ৫৮টি। এর মধ্যে ২২টি আসনে জামায়াতের নেতারা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবেন।
এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে নানা কারণে ব্যতিক্রমী।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিকে কেন্দ্র করে বহু বিতর্ক, নির্বাচন বর্জন, আন্দোলন ও সংঘাতের পরও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই সংসদ নির্বাচন হচ্ছে – যাতে প্রায় ১০ বছর পর সব প্রধান রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করছে।

আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন মোট ২৫৮ জন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের চিরাচরিত ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন ১৪ জন। তার মধ্যে আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ জন, জাসদ (ইনু)-র ৩ জন, তরিকত ফেডারেশন ২ জন, যুক্তফ্রন্ট-বিকল্পধারার ৩ জন এবং জাসদ (বাদল)-এর ১ জন।
আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ২৯টি আসনে নির্বাচন করবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবেন কিন্তু মহাজোটের সব দলের সমর্থন পাবেন। এ আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকে কোন প্রার্থী থাকবেন না।
এর বাইরেও ১৩২টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন বলে এসব আসন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আরেক মিত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির দু’জন প্রার্থী বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

বিএনপি ও তার মিত্ররা
বিগত নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোদীদল বিএনপি এবার তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকা অবস্থায় নির্বাচন করছে। বিএনপির প্রার্থীরা ২৪২টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।
বিএনপি তাদের ২০ দলীয় ঐক্যজোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি এবং অন্য শরিকগুলোকে ১৭টি আসনে তাদের চিরাচরিত প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে দিচ্ছে।
এ ছাড়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট।
বিএনপি ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে এক চিঠি দিয়ে গণফোরাম, এলডিপি, জেএসডি, জমিয়তে উলামায়ে, খেলাফত মজলিস ও কল্যাণ পার্টির ২৫ প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মত বড় দলগুলোর অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাই চূড়ান্তভাবে দল থেকে মনোনয়ন পাননি।
মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবার অনেকে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করছেন। – বিবিসি।

বিষয়সমূহঃ