ঢাকা সোমবার | ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বয়স ৫৭ ছাড়িয়ে ৫৮তে পা দিয়েছেন গত বছরের অক্টোবরে। আর পেশাদারি ফুটবলকে বিদায় বলেছেন ১৯৯৭ সালে। তারপরও ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই ফুটবলপ্রেমীদের। এই রাশিয়া বিশ্বকাপেই এটা আবারো দেখা গেছে। আসলে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের একজন বলে কথা! আর্জেন্টাইন ফুটবল ইশ্বর বলে খ্যাত এই মহাতারকার নতুন ঠিকানা এখন বেলারুশ। মধ্য পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতেই থাকবেন তিনি।
সেখানে নতুন এক ভূমিকায় দেখা যাবে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ককে। বেলারুশের ক্লাব ডায়নামো ব্রেস্টের চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হতেই এই ক্লাবের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার।
ডায়নামো ব্রেস্ট ম্যারাডোনাকে ঘিরে নতুন করে জেগে উঠতে চাইছে। ৩০ হাজার দর্শক আসনের একটি মাঠ নির্মাণ শুরু হবে কিছুদিন পরই। সেখানে অবশ্য কঠিন ঠান্ডার সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে তাকে। এটা নিয়ে যদিও ভয় নেই ম্যারাডোনার। ঠান্ডার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘দেখুন, যখন আমি ছোট ছিলাম, আমার কোনো জুতো ছিল না। খালি পায়েই হেটে বেড়াতাম। এজন্যই বরফ নিয়ে ভয় পাচ্ছি না আমি। বেলারুশে আশা করি আমার মিশন সফল হবে।’
ক্লাবটিকে ঘিরে এরইমধ্যে কিছু পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন ম্যারাডোনা। তিনি জানাচ্ছিলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন আমি কখনেই চ্যালেঞ্জ দিতে পিছপা হইনা। এই ক্লাবটাকে জাগিয়ে তুলতে প্রাণপনে লড়ে যাবো। একাডেমিতে থাকা বাচ্চাদের একদিন বড় ফুটবলার তৈরি করতে হবে। ক্লাব কর্তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’
ম্যারাডোনা অবশ্য মনপ্রাণে আর্জেন্টিনার কোচের পদটাই চাইছিলেন। হোর্হে সাম্পাওলির চেয়ার বসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ফের তার হাতে দায়িত্ব দিতে চাইছে না। সেটা পরোক্ষভাবে এরইমধ্যে বুঝিয়েও দিয়েছে।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
শিরোনাম