ঢাকা বুধবার | ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুদের হার কমলেও, এ বছর বিনিয়োগে গতি নাও আসতে পারে। কারণ, নির্বাচন কেন্দ্রীক অনিশ্চয়তায় ধীরে চলো নীতিতে এগোনোর চিন্তা করছেন উদ্যোক্তারা। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সব দেশেই নির্বাচনের বছর বিনিয়োগের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। তবে বিনিয়োগে, সুদের হার কমার প্রভাব যাচাইয়ে সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এফবিসিসিআই।
গত ২০শে জুন সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস-বিএবি।
মূলত বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতেই এমন সিদ্ধান্ত। কিন্তু পুরোনো তথ্য বলছে, ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আগের ৪ বছরের তুলনায় কমে যায় বিনিয়োগ। একই প্রবণতা ছিলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরেও। এবছরও ডিসেম্বরে নির্বাচন হবার কথা। তাই সুদ হার কমলেও বিনিয়োগে বাড়তি হিসেব-নিকেশ করবেন উদ্যোক্তারা।
ওয়েল গ্রুপের সিইও সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, পৃথিবির সব দেশেই সব অর্থনীতিতেই নির্বাচনের বছরে বিনিয়োগকারীরা হিসেব নিকেশ করে, বাংলাদেশ তার বাইরে না। সামনেই কয়েকমাস পরেই নির্বাচন। নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিনিয়োগকারীদের অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হয় এটাকে সাধারণ ব্যাপার বলেই জানালেন তিনি।
তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা হতাশ নন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আমরা মাঠ পর্যায়ে তথ্য নেয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন আসলে অবস্থাটা কি তা জানা যাবে।’ এরপর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
কিন্তু শুধু সুদহার কমিয়েই কি বিনিয়োগে গতি আনা সম্ভব? এমন প্রশ্নে সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জরিপগুলো আছে সেগুলোতে সুদের হারের পরিমাণ কিন্তু চার বা পাঁচের দিকে থাকে।’ সুদের হার যদি কিছুটা কমানো হয় তারপরেও ব্যক্তিগত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না তৌফিকুল ইসলাম।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র বিশ্লেষণ বলছে, ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে চলতি অর্থবছর ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যক্তি খাতের আর ৩০ হাজার কোটি টাকা সরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম