ঢাকা শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ | ১৫:৩২

সরকারী চিকিৎসকদের প্রধানমন্ত্রী

কায়দা টায়দা করে ঢাকায় এসে বসে থাকবে

tesst

মফস্বলের সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেখানে না থেকে যদি তারা শুধু ঢাকায় আসতে চায় তবে সরকারি চাকরি করার কোনো প্রয়োজন নেই। চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় এসে ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখতেও তাঁদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কয়েকটি জেলা সদর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁকে ডাক্তার আমরা নিয়োগ দিচ্ছি, কিন্তু যেই আমরা পাঠাচ্ছি উপজেলায় সেখানে না থেকেই, সরকারি চাকরি হলেই এই সমস্যাটা হয়। যেই আমরা দিয়ে দিচ্ছি ওমনি কোনোভাবে কায়দা টায়দা করে ঢাকায় এসে বসে থাকবে। তো এভাবে যদি কেউ চলে আসে তাহলে তার চাকরি করার তো দরকার নেই। ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করলেই তো অনেক টাকা পাবে। দয়া করে তারা বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যাক, আমরা নতুন নিয়োগ দেব। একটা সমস্যা আমি বের করেছি- সেটা হচ্ছে তাঁদের আবাসিক সমস্যাটা। সেজন্য ইতিমধ্যেই গণপূর্তকে আমি নির্দেশ দিয়েছি মানে প্রত্যেক উপজেলায় একটা মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং যদি করে দেয় যেটা অনেক কাজে ব্যবহার করতে পারে। যেকোনো সরকারি অফিসার সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবে।’

জাপান থেকে আনা চিকিৎসা সেবার আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ৫০০টি অ্যাম্বুলেন্স সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করবে সরকার। এরই মধ্যে ৪৩৩ টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। তারই সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি আজ হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজের বক্তব্যে দ্বীপ ও হাওড় অঞ্চলের জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করাকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেওয়াই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো সব বিভাগীয় শহরেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান শেখ হাসিনা। মেডিকেল কলেজগুলোর পড়াশুনার মান কঠোরভাবে তদারকি করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল কলেজগুলো আমরা করে দিচ্ছি কিন্তু তার মানটা বজায় রাখতে হবে। যে কী চিকিৎসা হচ্ছে। রোগী মারা ডাক্তার হচ্ছে না রোগী বাঁচানোর ডাক্তার হচ্ছে এটা একটু ভালো করে দেখতে হবে।’

এ সময় বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে দেশের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।