ঢাকা রবিবার | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছোটখাট গড়নের খেলোয়াড়। গত মৌসুমে বিপিএলে বোলিং দিয়ে বাজিমাত করে লাইমলাইটে আসেন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। চলতি বিপিএলে দারুণ শুরুর পরও ঠিকমতো নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে ঝলক দেখালেন ধ্রুব। সোমবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে মুগ্ধতা ছড়ানো এক ইনিংস উপহার দেন খুলনা টাইটান্সের ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রিলে রুশোর উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ধ্রুব। বিস্মিত করার মতো ব্যাপার হলো- ইনিংসে কোনো চারের মার নেই।
ছক্কা মারার শুরুটা করেছিলেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। কেসরিক উইলিয়ামসের করা ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলকে লং অফের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান আফিফ।
আফিফের দ্বিতীয় ছক্কার শিকার মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বল দৃষ্টিনন্দন পুল শটে স্ট্যান্ডে পাঠান এই ছোট গড়নের ব্যাটসম্যান।
নবম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহকে আউট করে রাজশাহীকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। তবে ১১তম ওভারে তার ওপর চড়াও হন আফিফ। ফ্রাঙ্কলিনের করা ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে মাথার ওপর দিয়ে বল সীমানাছাড়া করেন আফিফ।
আফিফের চতুর্থ ছক্কাটিও ছিল দেখার মতো। এবার ইনিংসের ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোলার কেসরিকের মাথার ওপর দিয়ে বল সীমানাছাড়া করেন খুলনা টাইটান্সের ব্যাটসম্যান। মাঝখানে ক্রেইগ ব্রাফেটের কারণে তেমন একটা সুযোগই পাচ্ছিলেন না আফিফ।
ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ছক্কা দিয়েই। কেসরিকের করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ধ্রুব।
বিষয়সমূহঃTags: আফিফ হোসেন
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম