ঢাকা শুক্রবার | ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নিউজ
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ | ১২:২০

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ’শুভ বড়দিন’

tesst

রাজধানীর কাকরাইলের গির্জা। ছবি: ফোকাস বাংলা

২৫ ডিসেম্বর। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের শুভ বড়দিন। ২০১৭ বছর আগে এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট।

ঈশ্বরের মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু। আর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে বড়দিনের এ উৎসব পালিত হয়। খ্রিস্টীয় ২০০ সাল থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে ঔদার্য এবং মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি বলেন, ‘সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্মপালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে সকল ধর্মের উৎসব-পার্বণ আমরা গর্বের সঙ্গে একত্রে পালন করি।’

এ ছাড়া খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

২৫ ডিসেম্বর সোমবার (আজ) সরকারি ছুটি। বড়দিন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরবে।

অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। ইতিমধ্যে গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে বেথলেহেম থেকে ভ্যাটিকান, ওয়াশিংটন থেকে ঢাকা- সর্বত্র খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের উৎসব শুরু করেছেন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেন।

দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। সান্তা ক্লজ শিশুদের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দে ভরিয়ে তুলবেন দিনটি। এরই মধ্যে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে থাকবে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে আজ থেকে বসবে মেলা। সব গির্জার নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব।

রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। হোটেলগুলোর লবিতে ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন ও বড়দিনের কেক থাকবে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এসব আয়োজন। সকাল ও বিকেলে শিশুদের জন্য রয়েছে শান্তা ক্লজের উপহার অনুষ্ঠান এবং সবার জন্য বুফে ডিনারের ব্যবস্থা।

সূত্র: প্রিয়.কম

আগামীনিউজ২৪.কম/এসএম

বিষয়সমূহঃTags: ,