ঢাকা মঙ্গলবার | ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম সেরা ভাষণ এবং প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ তারা এ ভাষণ ও ভাষণের গুরুত্বকে ক্রমাগতভাবে অস্বীকারের পাশাপাশি ইতিহাস বিকৃতি করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ ভাষণ বাজানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্রেও নির্বাসিত ছিল এ ভাষণ। অথচ বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এই ভাষণটি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের অর্জন। তাই ২৫ নভেম্বর সরকারি কর্মচারীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রা করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মচারীরা ভাষণ দিয়েছেন। অথচ এ সমাবেশকে আহাম্মকের মতো রাজনৈতিক সমাবেশ বলে মিথ্যাচার করছেন রিজভী আহমদসহ বিএনপির নেতারা। রিজভী আহমেদের কথাবার্তা উন্মাদের প্রলাপ বলেই মনে হয়। তিনি কথাবার্তায় শালীনতা দেখান না। তিনি অসম্মানজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলেন।
উন্নয়ন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ২০০৮ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার। বর্তমানে ১৬৫০ ডলার। ২০০৮ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৪০ শতাংশ। বর্তমানে মাত্র ২০ শতাংশ। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতার ছিল ৪০ শতাংশ। এখন তা ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা এগুলোকে অস্বীকার করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়সমূহঃTags: ৭ মার্চের ভাষণ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম