ঢাকা শুক্রবার | ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বামী স্ত্রীকে কোন কারণ ছাড়াই ডিভোর্স দিতে পারে। কিন্তু স্ত্রী স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আছে। বিবাহের যদি কাবিন রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে তাহলে তার সার্টিফায়েড কপি স্ত্রী সংগ্রহ করতে হবে। কাবিননামার ১৮ নম্বর কলামে স্বামী স্ত্রীকে তালাক নেওয়ার অনুমতি না দিলে কেবল আদালতের মাধ্যমেই স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে।
কাবিননামায় যদি স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে ( সাধারণত প্রায় সকল কাবিনামাতে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া থাকে) তাহলে সেই শর্তের ভিত্তিতে স্ত্রী স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে।
বিবাহ বলবত থাকা অবস্থায় স্ত্রী কাবিনের অর্ধেক টাকা এবং তালাক হয়ে গেলে কাবিনের সম্পুর্ন টাকা দাবী করতে পারবে।
বেকডেটে তথা পিছনের তারিখ দেখিয়ে তালাক দেওয়া যায়না। কারণ তালাকনামার একটি কপি প্রতিপক্ষ স্বামী বা স্ত্রীকে এবং আরেকটি কপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠাতে হবে। মূলত ডাক রশিদে যেই তারিখটি থাকবে সেটিই তালাক প্রদানের তারিখ বলে বিবেচিত হয়। তারিখের জালিয়াতি সম্ভব নয়। কারণ রশিদে ধারাবাহিকভাবে নম্বর বসানো থাকে।
তালাকনামা পাঠানোর ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়। স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তালাক পেন্ডিং তথা ঝুলন্ত থাকে থাকে। এর আগেই স্ত্রী বিবাহ করলে তা শুদ্ধ হবে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী নিজে এবং তার দ্বিতীয় স্বামী বা প্রেমিক ফৌজদারী অপরাধে দন্ডিত হতে পারে।
তালাকের নোটিশ প্রেরণ না করলে একবছর কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।
বিবাহ বলবত থাকা অবস্থায় স্ত্রী পালিয়ে অন্যত্র বিয়ে করলে সেই বিয়ে বাতিল হবে।
হিন্দু আইনে কখনোই ডিভোর্স দেওয়া যায়না। বাংলাদেশে একজন হিন্দু নারী জীবনে শুধু একটি বিয়েই করতে পারে।
ইবরাহীম সরকার
এডভোকেট, ঢাকা জজ কোর্ট
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম