ঢাকা শুক্রবার | ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় প্রাপ্তি সিটির’র মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারী সংস্থা ডরপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিবিআরএলপি’র প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএসসি’র ডেপুটি চিফ কো-অর্ডিনেটর প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক এন্ড ওয়ার্ক্স) মোঃ আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও রূপশ্রী চক্রবর্তীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রকল্পের চীফ রিসেটেলমেন্ট কর্মকর্তা এএম সালাহ উদ্দীন, ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রথম গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদা বেগম, মোঃ জাহাঙ্গীর বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমন্বিত ভাবে কাজ করে পুনর্বাসন কার্যক্রমকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারী প্রতিশ্রুতি ত্বরান্বিত করতে দেশজ পরিকল্পনায় পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। বক্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে সংযোগ তৈরী করার পাশাপাশি একটি দেশীয় সমন্বিত পুনর্বাসন নীতিমালা প্রণয়ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে ডরপ পিবিআরএলপি পূনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্পে ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ডরপ প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপসহ, জেলা প্রশাসন কর্র্তৃক প্রদত্ত নগদ ক্ষতিপুরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রদত্ত পুনর্বাসন সুবিধা হস্তান্তর, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের জীবিকায়ন পুনস্থাপন প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করছে। উল্লেখ্য, প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ইতপূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
বিষয়সমূহঃ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম