ঢাকা বৃহস্পতিবার | ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্দুকযুদ্ধ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেতু হোসেন (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। কেতু পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষস্থানীয় নেতা বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস। নিহত কেতু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ভালাইপুর কবরস্থানের কাছে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের এক পরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মোস্ট ওয়ানটেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা কেতুকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাতে আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেতু তার অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান দেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, পুলিশের একটি দল রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়। পুলিশের দাবি কেতুকে নিয়ে পুলিশের দলটি রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর মোড়ের একটি কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা কেতুর সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এ সময় পুলিশ-সন্ত্রসীদের মধ্যে ‘বন্ধুকযুদ্ধ’ চলে। এক পর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ হেফাজতে থাকা কেতুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় রিভলবার, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ৬টি বোমা ও ৬টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয় । এ সময় পুলিশ আহত কেতুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, কেতুর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বিষয়সমূহঃTags: চরমপন্থি, চুয়াডাঙ্গা, বন্দুকযুদ্ধ
পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ
শিরোনাম